সোমবার (১৬ আগস্ট) প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাঁচজনের মরদেহ একটি গাড়িতে তোলা হয়েছে বলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। তবে গোলাগুলিতে, নাকি হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন অপর একজন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কারও মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।
গতকাল রোববার তালেবান কাবুল দখলের পর থেকেই জনস্রোত দেখা গেছে কাবুল বিমানবন্দরে। আতঙ্কে দেশ ছাড়তে যেকোনো উপায়ে একটি উড়োজাহাজে উঠতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা। লোকজনের চাপ সামলাতে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা আজ ফাঁকা গুলি চালিয়েছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন মার্কিন এক কর্মকর্তা।
কাবুল বিমানবন্দরে মানুষের ভিড়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে আছে একটি উড়োজাহাজ। উড়োজাহাজটিতে উঠতে শত শত মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। তাঁরা সবাই উড়োজাহাজে উঠতে মরিয়া। উড়োজাহাজটিতে ওঠার সিঁড়ি লোকে লোকারণ্য। কে আগে উঠবেন, তা নিয়ে সিঁড়িতেই চলছে ধাক্কাধাক্কি। অনেকে আবার এর ধার ধারেননি। সিঁড়িতে ঝুলেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উড়োজাহাজের দরজায়।
এদিকে যাঁরা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চান, তাঁদের বাধা না দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬৫টি দেশ। দেশত্যাগে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা কোনো হয়রানির শিকার হলে এর দায় তালেবানকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে দেশগুলো।
চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পর গতকালই কাবুলে ঢুকে পড়ে তালেবান বাহিনী। এর পরপরই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আফগানিস্তান ত্যাগ করে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেন। একপর্যায়ে দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান বাহিনী।