সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে ফিলিস্তিনের জেনিন শহরে হঠাৎই গুলি ছোড়ে ইসরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, এতে অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো ইসরায়েলি হতাহত হননি।
এক লিখিত বক্তব্যে ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেন, তাদের বাহিনী ফিলিস্তিনের এক সন্ত্রাসীকে আটক করতে অভিযান চালায়। এ সময় বেশকিছু ফিলিস্তিনির কাছে ভারী অস্ত্র দেখেন তারা। অভিযানের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধলে দু'পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।
এর আগে ২৬ জুন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনার কাছ থেকে এম-১৬ রাইফেল নিয়ে ফিলিস্তিনি লোকজনের ওপর গুলি ছোড়ে এক ইসরায়েলি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন বেইত সালেম এ ভিডিও ছড়িয়ে দেন। এতে দেখা যায়, পশ্চিম তীরের আল-তুয়ানি গ্রামের একটি স্থানে সামরিক জিপে করে ওই অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলি ছুটে আসেন। এরপর জিপ থেকে নেমেই ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া শুরু করেন।
ওই দিন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ব্যাপক সহিংসতা চালায়। তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ, পাথর ছোড়া, ভাঙচুর, গাছপালা ধ্বংস ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম আল-কুদস শহরে দখলদার ইসরায়েল অন্তত ২৩০টি বসতি গড়ে তুলেছে।
সেখানে ছয় লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এ সব বসতি অবৈধ। ১৯৯০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন শান্তি চুক্তির আওতায় পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনের সীমিত স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী সদেহভাজন জঙ্গি আটকের নামে প্রায়ই সেখানে অভিযান চালায়।