শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহ তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়োগ দেন। খবর রয়টার্সের।
গত ১৬ আগস্ট রাজার কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। পদত্যাগের ফলে তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভারও পতন ঘটে। ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব ছিলেন সাবেক সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী।
মুহিদ্দিন ইয়াসিনের পদত্যাগের পর দেশটির পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকাইতে আস্থাভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। আস্থাভোটে দেওয়ান রাকাইতের ২২২ জন আইন প্রণেতার মধ্যে ১১৪ জন তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার রাজার দফতর।
২০২০ সালে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকাইয়েতের সদস্যদের ভোটে জিতে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক দল মালয়েশিয়ান ইউনাইটেড ইনডিজেনাস পার্টির (এমইউআইপি) নেতা মুহিদ্দিন ইয়াসিন। তবে তার পক্ষে ও বিপক্ষে পড়া ভোটের ব্যাবধান ছিল একদমই অল্প।
ফলে, নিজের পদ ধরে রাখার ব্যাপারে সারাক্ষণ চাপে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই চাপ আরও বেড়ে যায় তার দলের কয়েকজন আইন প্রণেতা বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক ও মালয়েশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে (ইউএমএনও) যোগ দেওয়ার পর।
ইউএমএনও বরাবরই অভিযোগ করে আসছিল, আস্থাভোটে কারচুপির মাধ্যমে মুহিদ্দিন ইয়াসিন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ায় জোট সরকারে অবস্থান আরও দৃঢ় হলো মালয়েশিয়ার বৃহত্তম দলটির।