সাম্প্রতিক সময়ে এটি হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা চুরি হওয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘটনা। এর আগে গত সপ্তাহে ডিজিটাল মুদ্রার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। হ্যাকাররা তখন ব্লকচেইন সাইট পলি নেটওয়ার্কের সিস্টেমের একটি দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ৬০ কোটি ডলারের ডিজিটাল মুদ্রা হাতিয়ে নেয়।
লিকুইড গ্লোবাল এক টুইটাবার্তায় বলেছে, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের “ওয়ার্ম” বা “হট” ওয়ালেট থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার চুরি হয়েছে। সে জন্য আমরা এখন আমাদের সম্পদ “কোল্ড” ওয়ালেটে রাখছি।’
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবসায় ‘ওয়ার্ম’ বা ‘হট’ ওয়ালেট হচ্ছে অনলাইনে চালু থাকা লেনদেনব্যবস্থা, যেখানে এই মুদ্রার কারবারিরা অনায়াসে প্রবেশাধিকার পান এবং লেনদেন করতে পারেন। আর ‘কোল্ড’ ওয়ালেট হচ্ছে অফলাইনব্যবস্থা। এটি সাধারণত বন্ধ থাকে এবং অধিকতর নিরাপদব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত লিকুইড গ্লোবাল বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১০০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি তথা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার ব্যবসা করছে। কয়েনমার্কেট ক্যাপের মতে, দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ বিবেচনায় লিকুইড গ্লোবাল হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের একটি। এদিকে ব্লকচেইন অ্যানালিটিক ফার্ম এলিপটিক জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হ্যাকাররা বিটকয়েন ও ইথারিয়ান টোকেন মিলিয়ে লিকুইড গ্লোবালের প্রায় ৯৭ মিলিয়ন বা ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার চুরি করেছে।
লিকুইড গ্লোবাল অবশ্য জানিয়েছে, কীভাবে তাদের অর্থ সরানো হয়েছে, তা তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে। এখন তারা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য এক্সচেঞ্জ হাউস বা ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে কাজ করছে, যাতে খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধার করা যায়।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত লিকুইড গ্লোবাল বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১০০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি তথা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার ব্যবসা করছে। কয়েনমার্কেট ক্যাপের মতে, দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ বিবেচনায় লিকুইড গ্লোবাল হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের একটি।