জাকার্তার হালিম মিলিটারি বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মারসুদি বলেন, অস্থায়ীভাবে ইন্দোনেশিয়ার কূটনীতিক মিশন কাবুলের পরিবর্তে ইসলামাবাদ থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
তিনি বলেছেন, ‘একটি ছোট দল নিয়ে কাবুলে আমাদের কূটনৈতিক মিশন চালিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানের নতুন পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।’ তবে কূটনীতিক মিশন সরিয়ে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানাননি তিনি। এছাড়া সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন করারও সুযোগ দেননি।
সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখলে নেওয়ার পর থেকে হাজার হাজার আফগান দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তালেবানের শাসনের ভয়ে তারা দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দুই দশকের যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এবং তালেবান বলেছে, গত রোববার এই গোষ্ঠী রাজধানীর দখল নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং নারীর অধিকার সমুন্নত রাখতে আফগান নেতৃত্বাধীন, আফগান-মালিকানাধীন অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে তা নির্ধারণে প্রত্যেকদিন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে পাকিস্তানভিত্তিক ইন্দোনেশিয়ার কাবুল মিশন। এই মিশনে ইন্দোনেশিয়ার চারজন কূটনীতিক থাকবেন বলে জানিয়েছেন রেটনো।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে ২৬ জন দূতাবাস কর্মী, শিশু এবং নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে। কাবুলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে তাদের ফেরাতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রেটনো বলেছেন, ফিলিপাইনের সরকারের অনুরোধে পাঁচজন ফিলিপিনো এবং আফগান দুই নাগরিককে ইন্দোনেশিয়ায় আনা হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।