রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গ্রিন টান্সফরমেশন তহবিল নামে ২০ কোটি ডলার ও ২০ কোটি ইউরো সমমূল্যের তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখান থেকে অর্থ নিয়ে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো পরিবেশবান্ধব রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে অর্থায়ন করতে পারে।
তবে এ তহবিল থেকে অর্থ নিতে হলে বিধিমালা অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। অপরদিকে ঋণ ও বিনিয়োগের সঞ্চিতি, মূলধন এবং তারল্য ঘাটতি থাকলে কোনো ব্যাংক অংশগ্রহণকারী ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে পারবে না। নতুন সার্কুলার জারির মাধ্যমে এসব নির্দেশনা রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিভিন্ন সুবিধার পরও রাষ্ট্রীয় মালিকানার ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি এখন মূলধন সংকটে আছে। জুন মাস শেষে এসব ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূলধন ঘাটতি সবচেয়ে বেশি রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ৩ হাজার ৫৫৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এছাড়া, অগ্রণীর এক হাজার ৯৬০ কোটি ২৩ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের এক হাজার ৯২৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা, রূপালীর ব্যাংকের ৬৬৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং জনতা ব্যাংকের ৩৪৫ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত সবগুলো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ মোট ঋণের ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে।