যে এলাকায় হামলা হয়েছে, তার বেশ কাছেই মার্কিন সামরিক ঘাঁটির অবস্থান।
কুর্দিস্তানের আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এরবিলের বিমানবন্দরের কাছে রকেট হামলা হয়েছে। অন্তত তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে বিমানবন্দর লক্ষ্য করে।
পরে কুর্দিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে- বিমানবন্দরে রকেট নয়, ড্রোন হামলা হয়েছে। যে ড্রোনগুলো এক্ষেত্রে হামলাকারীরা ব্যবহার করেছে, সেগুলো বিস্ফোরকবাহী লাদেন ড্রোন ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা এরবিল বিমানবন্দর এলাকায় অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। কারা এই হামলা করেছে, তা ও এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের মদতপুষ্ট কুর্দি শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী এই হামলার জন্য দায়ী।
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে এরবিল বিমানবন্দরে। অধিকাংশ হামলা করেছে মিলিশিয়া বাহিনী, যারা দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকা মার্কিন দখলমুক্ত করতে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
ইরাকভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। সেই জোট থেকে এখন পর্যন্ত এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইরাক থেকে ইতোমধ্যে অধিকাংশ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটিতে আড়াই হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স