তিনি বলেছেন, বর্তমানে যে হারে টিকাদান চলছে, তা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
৭৫ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগের মাইলফলককে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন— আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সাথে যুক্ত করেছেন মান্দাভিয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে হিন্দিতে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘অভিনন্দন ভারত! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ (সবাইকে সাথে নিয়ে, সবার উন্নয়ন)’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি নিরলসভাবে নতুন মাত্রা তৈরি করছে। দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বছরের মহোৎসবের ক্ষণে টিকাদানও ৭৫ কোটি ছাড়িয়েছে।’’
ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউ ঠেকানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ ভারতের মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ৬০ শতাংশকে ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য ভারতে দৈনিক টিকাদান এক কোটি ২০ লাখ ডোজ হারে দেওয়া দরকার। দেশটির সরকার অবশ্য ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ প্রয়োগের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে।
দেশটির সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত সাতদিনে দৈনিক ৭৭ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় তা দৈনিক প্রায় ৪৩ লাখ ডোজ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৫৩ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাদানের এই সংখ্যা ওই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৭ শতাংশ কম।
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ কোটির বেশি। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৪ লাখের বেশি মানুষ। সোমবার পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৯ জন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম দফায় কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য করোনা টিকারও অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার।
সূত্র: এনডিটিভি।