বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা নোবেল ফাউন্ডেশন। বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে—এমনটা অনেকেরই মনে হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনও সেই বাস্তব পরিস্থিতিতে পৌঁছাইনি।’
এ কারণে গত বছরের মতো চলতি বছরও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ছোট আকারের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে; এবং গত বারের মতোই সেই অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির বাইরে অন্য কোনও অতিথির উপস্থিতি থাকবে না।
টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। বিজয়ীদের প্রাপ্ত পদক ও সনদ পৌঁছে যাবে তারা যেসব দেশের নাগরিক, সেসব দেশের কূটনীতিকদের কাছে। বিজয়ীরা দেশে তাদের কাছ থেকে পদক ও সনদ সংগ্রহ করবেন।
প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ওষুধ ও অর্থনীতি— এই ৬ বিষয়ে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের পুরস্কার প্রদান করে সুইডেনভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশন।
পুরস্কার প্রদানের পর তা উদযাপনে উৎসবের আয়োজন করে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটির সদর দফতর নরওয়েতে। চলতি বছর নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনলাইনে হলেও নোবেল কমিটির অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে কি-না তা এখনও নিশ্চিত হয়নি বলে বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
উনবিংশ শতাব্দিতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক; যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে।
মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে যান— প্রতি বছর ৬টি বিষয়ে যারা বিশেষ আবদান রাখবেন; তাদের যেন এই অর্থ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। চলতি বছর এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হবে ৪ অক্টোবর এবং শেষ হবে ১১ অক্টোবর।
সূত্র : রয়টার্স।