বিশ্ববাজারে এ মুহূর্তে এভারগ্র্যান্ডের ঋণের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিনিয়োগকারীদের ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার সুদ পরিশোধের কথা ছিল তাদের। তবে সময়সীমা পার হওয়ার পরও তারা তা শোধ করতে পারেনি।
শুধু নির্মাণ ব্যবসা নয়, স্বাস্থ্য, গাড়ি, সংবাদমাধ্যম, আর্থিক সংস্থা, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে এভারগ্র্যান্ডের। এখন দেনার ফলে নির্মাণ ব্যবসা বন্ধ হলে বাকিগুলোর ওপরও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনে এ সংস্থার বর্তমানে ১ হাজার ৩০০টি নির্মাণ প্রকল্প চলমান। মোট কর্মী ২ লাখের বেশি, এ ছাড়া অস্থায়ী কর্মী প্রায় ৩৮ লাখ। ফলে এমন বৃহৎ একটি সংস্থা ডুবলে তার প্রভাব যে সমগ্র বিশ্ববাজারে পড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ শুক্রবার হংকংয়ের পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ১০ শতাংশ কমেছে, গতকাল কমেছিল ১৭ শতাংশ।
এদিকে চীনা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকারগুলোকে এভারগ্র্যান্ডের সম্ভাব্য ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করেছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, কর্তৃপক্ষ যা বলছে তা হলো, সম্ভাব্য ঝড়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এভারগ্র্যান্ড চীনের ২৮০টি শহরে ৯০০টির মতো আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করেছে। চীনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছিল। ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়তে থাকায় এভারগ্র্যান্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা বেশ ভালো চলছিল। ক্রেতাদের কাছ থেকে আগে অর্থ নিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করত এভারগ্র্যান্ড। মূলত ওই ক্রেতার অর্থ দিয়েই ফ্ল্যাট তৈরি করা হতো। এখন দেউলিয়ার মুখে পড়ায় ১০ লাখের বেশি ক্রেতা ফ্ল্যাট পাবেন কি না, সে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চীনের প্রবৃদ্ধির অন্যতম বড় চালিকা শক্তি আবাসন ব্যবসা। দেশটির মোট আর্থিক লেনদেনের প্রায় ২৯ শতাংশ হয়ে থাকে এ খাতে।