মিয়ানমারে জরিপ চালানোর সময় বাদুড়ের দেহে এসব ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের একই গোত্রভুক্ত।
তবে গবেষকরা বলছেন, নতুন এসব ভাইরাস জিনগতভাবে সার্স বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। গত ৯ এপ্রিল প্লস ওয়ান জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সাইন্স।
করোনাভাইরাসের গোত্রভুক্ত সার্স ২০০২-০৩ সালে বিশ্ব জুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই গোত্রের আরেক ভাইরাস বর্তমানে মহামারির রুপ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
মিয়ানমারে বাদুড়ের ওপর জরিপ চালানোর সময় নতুন ধরনের ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। সরকারি অর্থায়নে প্রেডিক্ট নামে এক কর্মসূচির আওতায় ওই জরিপ চালানো হয়। প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারে এমন সংক্রামক রোগ শনাক্ত করতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে।
আর এখন পর্যন্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী বাদুড়ের মধ্যে কয়েক হাজার করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসও বাদুড় থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। তবে বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার আগে তৃতীয় কোনও প্রাণীর শরীরে এটি অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থান নিয়েছিল।
জরিপের অংশ হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাদুড়ের ১১টি প্রজাতি থেকে শত শত লালা ও মলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মিয়ানমারের অন্তত তিনটি স্থান থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব স্থানে বাদুড়ের আবাসস্থলের কাছে নানা কারণে মানুষের যাতায়াত রয়েছে।
নতুন পাওয়া এসব করোনাভাইরাস অন্য প্রজাতিতে যেতে পারে কিনা কিংবা মানুষের ওপর তা কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাকর্মটির সহ লেখক সুজান মুরে বলেন, ‘অনেক করোনাভাইরাসই মানুষের জন্য হুমকি নয়, কিন্তু আমরা যখন প্রাথমিকভাবে কোনও প্রাণীতে খুজেঁ পাই, তখন সম্ভাব্য হুমকি খতিয়ে দেখার জন্য মূল্যবান সময় পাই।’
তিনি বলেন, ‘কোনও মহামারি ঘটার আগেই তা ঠেকানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো অব্যাহত নজরদারি, গবেষণা ও শিক্ষা।’