এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ঋণ গ্রহণের খরচ বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে গত বছরের মার্চে মূল সুদহার রেকর্ড শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে নামানো হয়েছিল।
গত মাসে অর্থনীতিবিদেরা এ হার বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ায় এ পরিকল্পনা কিছুদিন স্থগিত রাখা হয়। এবার তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকায় প্রণোদনাব্যবস্থার কিছুটা বাদ দেওয়া হবে।
নিউজিল্যান্ড গত বছর মন্দা থেকে নিজেদের দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে। এর অন্যতম কারণ, তারা করোনভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল এবং অন্যান্য দেশের আগে তার অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছিল।
গত বছরের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় বিশ্বে। বড় অর্থনীতিগুলো এই মহামারির প্রভাব থেকে নিজেদের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে নীতিনির্ধারণী সুদের হার কমিয়ে দেয়। তবে এখনো খুব বেশি দেশ ঋণ গ্রহণের খরচের হার বাড়ায়নি। আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়া সুদহার বাড়ায়। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর দক্ষিণ কোরিয়া ছিল প্রথম এশীয় অর্থনীতি, যারা সুদের হার বাড়ায়। ব্যাংক অব কোরিয়া নীতিনির্ধারণী সুদের হার রেকর্ড শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ করে। গত মাসে চেক রিপাবলিকও সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এবার দিল নিউজিল্যান্ড।