জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত কয়েক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল হাইপারসনিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। সাধারণত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে বেশি বিপজ্জনক মনে করা হয়। কারণ এটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি বিস্ফোরক বহন এবং তুলনামূলক দ্রুতগতিতে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বুধবার (২০ অক্টোবর) জানিয়েছে, দেশটির সাম্প্রতিক পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটিতে নতুন ‘কন্ট্রোল অ্যান্ড হোমিং’ প্রযুক্তি রয়েছে, যার মাধ্যমে এটি মাঝআকাশেই গতিপথ পরিবর্তন করতে পারবে। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ‘গ্লাইডিং অ্যান্ড জাম্পিং মুভমেন্ট’-এর সুবিধাও রয়েছে।
তবে খবরে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ, তিনি সম্ভবত এদিনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে যাননি।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি সিনপো বন্দর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই বন্দরটিকে সাধারণত সাবমেরিনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে পিয়ংইয়ং।
পরীক্ষা চালানো নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে উড়ে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এ ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।