ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বন্যা ও ভূমিধসে ৪৬ জন মারা গেছেন ও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও হিমালয় রাজ্যের দুটি প্রত্যন্ত জেলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা বাড়িয়ে ওই অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার বেশ কয়েকটি এলাকায় ৪০০ মিলিমিটার বা ১৬ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করার কথা জানায় তারা। যা ভূমিধস এবং বন্যার অন্যতম কারণ। এরপর কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বন্যাকবলিত রাজ্যে সমস্ত ধর্মীয় ও পর্যটন কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
অন্যদিকে নেপালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা হুমকালা পান্ডে জানিয়েছেন, দেশটিতে গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ৪৩ জন।
তিনি বলেন, এখনো অনেক স্থানে ভরি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে।
ভারি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে হিমালয় অঞ্চলে ভূমিধস একটি নিয়মিত বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বন উজার করে জলবিদ্যুৎ বাঁধ ও অবকাঠামো নির্মাণও এর জন্য দায়ী।