অভিভাবকদের বলা হচ্ছে, স্কুলের পর বাচ্চাদের যেন বিশ্রাম ও ব্যায়াম করার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে বাচ্চারা যেন অনলাইনে অতিরিক্ত সময় না কাটায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ছয় ও সাত বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল চীন।
সে সময় বলা হয়েছিল শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
ইন্টারনেটে শিক্ষার্থীদের আসক্তি কমাতে গত বছর আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল চীন।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটি নতুন আইনটি পাস করে।
এ আইনে কী আছে তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, শিশুদের নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও সামাজিক নানা অভ্যাস গড়ে উঠতে সহায়ক হবে এই আইন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উইবোতে নতুন এ আইন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আইনের যেমন প্রশংসা করছেন, কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, আইনের বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত কে করবে? স্থানীয় কর্তৃপক্ষ করবে না কি অভিভাবকদেরই করতে হবে?
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট তাদরে প্রতিবেদনে একজনের মন্তব্য প্রকাশ করেছে এ নিয়ে। ওই ব্যক্তি বলছেন, আমি সপ্তাহে ছয়দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করি। এরপর বাড়ি এসে আবার বাচ্চাদের লেখাপড়াও দেখতে হবে? শ্রমিকদের শোষণও করে যাবেন ,আবার বাচ্চাও নিতে বলবেন, এসব একসাথে হয় না।
চীনে যেসব অনলাইন টিউটরিং ফার্ম কাজ করছিল জুলাইয়ে সেগুলোর কাজেও সীমা টেনে দেওয়া হয়।
সূত্র : বিবিসি