এমনকি উভয় দেশের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি যৌথ ঘোষণায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং এ সংক্রান্ত বিপর্যয় থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), আর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।
যৌথ ঘোষণায় উভয় দেশ জানিয়েছে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে দৃঢ় ভাবে উল্লেক করছে। এর মাধ্যমে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে রাখার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেও এগিয়ে যাবে ওয়াশিংটন ও বেইজিং।
এছাড়া নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও বাস্তব অগ্রগতির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটিও পূরণে প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে বলেও ঘোষণায় জানিয়েছে উভয় দেশ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে পারবে বিশ্ব। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রাকে প্রাক-শিল্পযুগের সাথে তুলনা করা হয়।
অবশ্য প্রতিশ্রুতর সাথে বাস্তব অগ্রগতির মিল খুব কমই দেখা যায়। কারণ ২০১৫ সালে প্যারিসে ব্যাপকভাবে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্ব নেতারা। তবে এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এর আগে বুধবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান সম্মেলনের সম্ভাব্য চুক্তির খসড়া প্রকাশ করে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা। এটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সম্মেলনে অংগ্রহণকারী দেশগুলোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। চলমান কপ-২৬ সম্মেলনের শেষে এই চুক্তি ইস্যু করা হবে।