শুক্রবার ( ১২ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, বাইডেন ও শি সোমবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। এতে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দুটি দেশের দায়িত্বশীল আচরণসহ সম্ভাব্য আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
জেন সাকি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা, গুরুত্ব ও চীনের সঙ্গে উদ্বেগের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬-এ কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এর পরপরই বাইডেন ও শি নিজপিংয়ের এ বৈঠক হতে যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় বুধবার ( ১০ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ পায়। এতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ও দিক নির্দেশনার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা, বন বিনাশের ইতি টানাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, হংকং ও জিনজিয়াং প্রদেশের ইস্যু নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায় । এছাড়া উত্তেজনা প্রশমনে গত অক্টোবরেই দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের উন্নতি ঘটে। সেসময়ই বছরের শেষ দিকে বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। সূত্র: আল-জাজিরা।