অ্যাস্ট্রাজেনেকার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে কর পরিশোধের পরও প্রায় ৬৫ কোটি ডলার লাভ করেছিল কোম্পানিটি। সে তুলনায় এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে নিট ক্ষতির পরিমাণ ১৬৫ কোটি ডলার। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি অ্যালেক্সিয়নকে অধিগ্রহণের জন্য ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে তাদের। আর এ কারণে এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের খরচ অনেক বেশি হয়েছে। তা ছাড়া এ সময়ের মধ্যে কোভিড চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় বেড়েছে বলেও জানায় কোম্পানিটি।
সম্প্রতি কোভিড-১৯–এর উপসর্গ থাকা মানুষদের ওপর একটি চিকিৎসা পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রয়োগও চালিয়েছে ওষুধ কোম্পানিটি। দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয়ে এ জেড ডি ৭৪৪২ নামক এ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত মাসে কোম্পানিটি জানায়, এ পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পেয়েছে তারা। এ চিকিৎসা পদ্ধতি কতটা নিরাপদ ও কার্যকর, তা জানতে এর চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। করোনার টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি এ নিয়ে কাজ করছে তারা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা আশা করছে, করোনার টিকা বিক্রি থেকে যে সীমিত লাভ আসবে, তা দিয়ে এ জেড ডি ৭৪৪২–সংশ্লিষ্ট খরচ মেটানো সম্ভব হবে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সোরিয়ট দাবি করেন, তাঁর কোম্পানি কখনোই উচ্চ মূল্যে টিকা বিক্রি করতে চায় না। তিনি বলেন, মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা সরবরাহ করতে চায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই কোভিড টিকা থেকে চলতি বছর এ পর্যন্ত ২২২ কোটি রাজস্ব পেয়েছে তারা। এ সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে টিকার ৫৮ কোটি ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। সোরিয়ট জানান, বিশ্বে ফাইজারের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকাই সবচেয়ে বেশি টিকা সরবরাহ করতে পেরেছে। এর মধ্য দিয়ে অনেক কোভিড আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছে তারা।
সোরিয়ট দাবি করেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে কোম্পানিটির রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি টিকা সরবরাহ ব্যবস্থাও জোরালো হবে। অ্যালেক্সিয়ন কোম্পানিকে অধিগ্রহণের কারণে বিশ্বজুড়ে রোগীদের বিভিন্ন থেরাপি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশা করেন তিনি। সূত্র: এএফপি।