বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সাল থেকে চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে থাকে। এর পর দেশটিকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপরই এই প্রথমবারের মতো অর্থনীতিতে ধস নেমে এল। বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনা অর্থনীতিতে ধসে অন্যন্য দেশগুলোরও বিশাল উদ্বেগের কারণ হবে।
চীনে রয়েছে বিশাল ভোক্তার বাজার, পণ্য উৎপাদন ও সেগুলোর পরিষেবা প্রদান। এসবের কারণে চীনকে অর্থনীতির পাওয়ার হাউজ বলা হয়ে থাকে।এখানে কোনো ‘ত্রুটি’ হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো বিশ্বে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ইউ সু বলেছেন, জানুয়ারি-মার্চ মাসে জিডিপি সংকোচনের কারণে তা স্থায়ী আয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে। এতে ক্ষুদ্র কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে এবং অনেকে চাকরি হারাতেও পারে।
গত বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের সময়ও চীনের অর্তনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ ছিল।
গত দুই দশকে চীন প্রতি বছর গড়ে ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা চীন সরকারের সরবরাহ করা সে পরিসংখ্যান নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলেছে।
গত বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ। এবার করোনাভাইরাসের আঘাতে তা অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও চীন সরকার অর্থনীতিকে উদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সমন্বয়ের কথা বলেছে।
গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর পর চীনের কয়েকটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাসটি। পরবর্তীতে বিশ্বের প্রায় দেশেই এ ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়।