১৪৮ ফুট লম্বা এই বিমানটি হবে বোয়িং ৭৩৭ এর চেয়ে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বড়। চীনের কর্মকর্তারা আশা করছেন ২০৩৫ সালের মধ্যে তারা আরো কয়েকটি বিমান বহরে যুক্ত করতে পারবে। ২০৪৫ সালে এই বিমান ১০০ যাত্রীকে বহন করতে পারবে।
কি উদ্দেশে এই বিমান তৈরি করা হচ্ছে সে সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোনো ঘোষণা দেয়নি চীন। তবে মঙ্গল গ্রহ এবং চন্দ্র অভিযানের সঙ্গে জড়িত চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় এই বিমানের আদিরূপ প্রকাশ করা হয়েছে। বিমানটি তৈরি করা হচ্ছে বোয়িং মান্তা এক্স-৪৭সি এর ডিজাইনে। অতিরিক্ত ব্যায়ের কারণে ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা একই ধরণের একটি প্রকল্প বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল।
নাসার হাইপারসোনিক প্রোগ্রামের সাবেক প্রকৌশলী মিং হান টাং। তিনিই টু-স্টেজ ভেহিক্যাল (টিএসভি) এক্স-প্লেন প্রযুক্তির ডিজাইন করেন। চীনের হাইপারসনিক ওয়েপন বিজ্ঞানীরা সেটির অনুমোদন দেয়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিমানটি তৈরি করে পরীক্ষা চালায়। এতে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান বিমানটি আকাশে ওঠার পর শব্দের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে স্বক্ষম। তবে দুই ইঞ্জিনের এই বিমানটিতে বেশ কিছু সমস্যাও ধরা পড়েছে। সমস্যগুলি সমাধানের চেষ্টা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: স্কাই নিউজ।