বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক এই সংগঠনটি ২৫ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার-হত্যার ঘটনা নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। সংগঠনটি বলছে, গত ২৫ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। তবে সবচেয়ে কম সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এ বছর। মধ্যপ্রাচ্যে তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকায় সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা কমেছে বলে জানিয়েছে তারা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি আরও বলেছে, গত বছরের তুলনায় সাংবাদিকদের নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। যে দেশ ও এলাকাগুলোয় এমন ঘটনা বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হংকং, মিয়ানমার ও বেলারুশ।
আরএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরে যে পরিমাণ নারী সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে, সেই পরিমাণ নারী সাংবাদিকে পূর্ববর্তী কোনো বছরে আটক হননি। চলতি বছর নারী সাংবাদিক আটক হয়েছেন ৬০ জন, যা ২০২০ সালের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি।
সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন চীনে। দেশটিতে ১২৭ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই দেশটিতে সাংবাদিক বেশি গ্রেপ্তার হওয়ার কারণ, দেশটির আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ। গ্রেপ্তারের ঘটনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার। দেশটিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৩ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া ভিয়েতনামে ৪৩, বেলারুশে ৩২ ও সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩১ জন।
আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে সহিংসতা কমতে থাকায় ২০১৬ সালের পর থেকে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা কমছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৪৬ সাংবাদিকের মধ্যে অধিকাংশকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শতকরা হিসেবে এই সংখ্যা ৬৫।
আরএসএফ বলছে, বিশ্বজুড়ে ৬৫ জন সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে চলতি বছর। এর মধ্যে ৬৪ জনই অপহৃত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশে। সিরিয়ায় অপহৃত হয়েছেন ৪৪ জন। ইরাকে ১১ ও ইয়েমেনে অপহৃত হয়েছেন ৯ জন। আর একজন সাংবাদিক অপহৃত হয়েছেন ফ্রান্সে।