যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ভারতেও রেকর্ড গড়ল মূল্যস্ফীতি

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ভারতেও রেকর্ড গড়ল মূল্যস্ফীতি
সারা পৃথিবীতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। এবার ভারতেও রেকর্ড গড়ল মূল্যস্ফীতি।

খুচরা বাজারের পাশাপাশি পণ্যের নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির সাক্ষী হয়েছে ভারতের পাইকারি বাজার। মঙ্গলবার প্রকাশিত দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, অক্টোবরে ভারতের পাইকারি মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ থাকলেও নভেম্বরে তা বেড়ে ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশে পৌঁছেছে, ১৬ বছরের মধ্যে যা নতুন রেকর্ড।

সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোজ্যতেলের পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত নানা কাঁচামালের পাইকারি মূল্য অনেকটাই বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই সরকারি পরিসংখ্যানে। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মূলত খনিজ তেল, মৌলিক ধাতু, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, রাসায়নিক পণ্য ও খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, কেন্দ্র আরও আগে পেট্রল-ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক কমালে হয়তো মূল্যস্ফীতি এত বাড়ত না। তাঁদের আশঙ্কা, এবার শিল্পক্ষেত্রের মূল্যস্ফীতির আঁচ সাধারণ ক্রেতাদের গায়ে লাগবে। তবে অর্থনীতিবিদদের আরেক অংশের মতে, পাইকারি বাজারে এই মূল্যস্ফীতি আদতে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষণ। আর এই চাহিদা বৃদ্ধি কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে জিডিপির ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত।

ভারতের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়, খুচরা বাজারে মূল্যস্ফীতির হার অক্টোবরে ছিল ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশের কাছাকাছি। নভেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের। সবজির পাশাপাশি গত কয়েক মাসে ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে অনেকটাই। মূল্যস্ফীতির হার ক্রমশ বাড়লেও তা এখনো রিজার্ভ ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার মধ্যেই আছে বলে ভারতের সরকারি সূত্র দাবি করেছে; যদিও সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আদৌ স্বস্তিদায়ক নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। আগামী দিনে তা আদৌ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে যথেষ্ট।

অবশ্য রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের নভেম্বরের তুলনায় খুচরা মূল্যসূচক অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সে সময় কোভিড–পরবর্তী পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
আরবিআই অবশ্য আগেই সতর্ক করেছিল, এ বছর মূল্যস্ফীতি বাড়তি থাকবে। কারণ হিসেবে তারা বলেছিল, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়া ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকসের সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) এ বছরের নভেম্বরে বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া