সোমবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।
পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তের পেছনে পটভূমি উল্লেখ করে নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শহরের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ জনগোষ্ঠীর জন্য গ্রামেই উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।
অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক, অর্থাৎ শাখা, উপশাখা, এজেন্ট, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ দিতে পারবে। কোনো এনজিওকে ঋণ দেওয়ার এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া যাবে না। একজন গ্রাহককে ঋণ দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। তবে কেউ ঋণখেলাপি হলে নতুন ঋণ নিতে ও সমন্বয় করতে পারবেন না। এ তহবিলের আওতায় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে পুনঃ অর্থায়ন সুবিধা পাবে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। কোনো নিরাপত্তা জামানত নেওয়া যাবে না। নতুন এ তহবিলের ১০ শতাংশ ঋণ পাবেন নারীরা।
স্বল্প পুঁজির স্থানীয় ব্যবসা, পরিবহন খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি যানবাহন ক্রয়, ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্প, মৎস্য চাষ, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন, তথ্যপ্রযুক্তি সেবাকেন্দ্র ও অন্যান্য সেবা উৎসারী কর্মকাণ্ড, বসতঘর নির্মাণ/সংস্কার, সবজি ও ফলের বাগান, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ফসল বিপণনকাজে যাঁরা জড়িত, তাঁরাই পাবেন এ ঋণ। এ ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করে এমন কর্মকাণ্ড, যেমন ছোট ছোট ব্যবসা, বিশেষ করে ধান ভাঙানো, চিড়া/মুড়ি তৈরি, নৌকা ক্রয়, মৌমাছি পালন, সেলাই মেশিন ক্রয়, কৃত্রিম গয়না তৈরি, মোমবাতি তৈরি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, এমন ক্ষেত্রেও ঋণ দেওয়া যাবে।