শনিবার বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদকারীরা স্লোগান ধরেন- ‘আমার জীবন ফেরত চাই’।
তাদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা কর’, ‘স্বাধীনতা সবকিছু নয়, কিন্তু স্বাধীনতা ছাড়া সব অর্থহীন’- এ রকম নানা স্লোগান।
কিছু প্রতিবাদকারী নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছে, রাস্তায় বসা তাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল, কিন্তু অন্যরা একসঙ্গে জড়ো হয়েই বিক্ষোভ দেখায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জার্মানির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো প্রকাশ্য বিক্ষোভের অনুমতি না দেয়ায় মুখে মাস্ক পরা দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।
সেখান থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরে টুইটারে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশ্বের বহু দেশের মতো জার্মানিও কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে লকডাউনের পথ বেছে নেয়। ১৭ মার্চ থেকে সেখানে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি আছে।
বিক্ষোভকারীরা ‘গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ’ শিরোনামের একটি সংবাদপত্র বিলি করে। এতে লেখা ছিল, নতুন করোনাভাইরাস ভয় ছড়িয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। পেপারটিতে কঠোর লকডাউনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা বিশ্বের ১২৭ জন চিকিৎসকের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়।
পুলিশের মুখপাত্র থিলো কাবলিটজ জানান, সংবাদপত্র বিতরণের মাধ্যমে প্রচার অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু প্রকাশ্য বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
“করোনাভাইরাসের এই সময়ে নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী আমরা সমাবেশ প্রতিরোধ করতে বাধ্য,” বলেন তিনি।
লকডাউন সমাবেশ করার স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে, এমন অভিযোগ করে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। ওই অভিযোগের জবাবে চলতি মাসের প্রথমদিকে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত জানায়, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে জনসাধারণের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।
কিছু প্রতিবাদকারী একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সাদা গোলাপ হাতে রাস্তায় বসেছিল।
তাদের মধ্যে নিজেকে শুধু সান্ড্রা বলে পরিচয় দেওয়া গোলাপ ধরা এক নারী বলেন, “আমাদের মতামতের পক্ষে দাঁড়াতে আজ এখানে জড়ো হয়েছি আমরা। সাংবিধানিক অধিকার, স্বাধীনতা আর সর্বোপরি বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার জন্য আমরা এখানে।”