এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত অস্ত্রধারী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে যে অভিযান শুরু করেছে নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী, তার অংশ হিসেবেই এই বিমানহামলা চালানো হয়েছিল।
কিন্তু রোববারের নাইজারের মারাদি অঞ্চলে বিমান হামলায় যারা হতাহত হয়েছে, তাদের কারোরই সঙ্গেই সশস্ত্র কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মারাদির গভর্নর শাইবৌ আবুবাকার নাইজারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, মারাদির নেশেদে গ্রামে ঘটা এই বিমান হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে ৪ শিশু, বাকি ৩ জন মারা গেছে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে।
এছাড়া আহত বাকি ৫ শিশুও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গভর্নর জানান, নাইজেরিয়া-নাইজার সীমান্তবর্তী গ্রাম মাদারৌনফা গ্রামে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী আস্তানা ধ্বংস করতেই সম্ভবত এই অভিযান চালিয়েছিল নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী, কিন্তু ভুলবশত মাদারৌনফার বদলে তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম নেদেশেতে হামলা করেছে নাইজেরীয় বাহিনী।
গত প্রায় দু্ই দশক ধরে নাইজেরিয়া ও নাইজারের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু সশস্ত্র ডাকাত গোষ্ঠী। বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে হত্যা, অপহরণ, লুটপাট ও গবাদি পশু চুরির মতো অপরাধ করে চলেছে এই গোষ্ঠীগুলো। তাদের দৌরাত্ম্য-অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
এই গোষ্ঠীগুলোকে চিরতরে নির্মূল করতে ২০০৮ সাল থেকে যৌথ অভিযান শুরু করেছে নাইজেরিয়া ও নাইজার— দুই দেশের সেনাবাহিনী।
রোববারের হামলার বিষয়ে নাইজেরিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।