তিন বছর মেয়াদি এ তহবিল থেকে শুধু চলতি মূলধন (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) ঋণ দেবে ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদ হবে ৪ শতাংশ। সোমবার (২৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ তহবিল থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ প্রদান করা হবে। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের ৪ শতাংশ গ্রহীতা শিল্প/ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রদান করবে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সিএমএসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা ও পরিচালনার নীতিমালা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবারের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ছোট-মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতের শিল্পোদ্যোক্তাদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। এরমধ্যে শিল্প খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার কথা ছিল।
শিল্প খাতের ওই ৩০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার জোগান দিতে গত ২৩ এপ্রিল একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার করা হলো ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য। দুই ক্ষেত্রেই সুদের হার একইরকম রাখা হয়েছে।