গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামীতে খাদ্যের উৎপাদন ও খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কৃষি খাতে শস্য ও ফসল চাষের জন্য কৃষক পর্যায়ে স্বল্প সুদে কৃষিঋণ সরবরাহ করা অত্যাবশ্যক। উল্লেখ্য, আমদানি বিকল্প ফসল (ডাল, তৈলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা) চাষ করার জন্য কৃষক পর্যায়ে ৪% রেয়াতি সুদ হারে কৃষিঋণ বিতরণের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানি বিকল্প ফসলের পাশাপাশি কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত ধান, গমসহ সব দানাশস্য, অর্থকরী ফসল, শাকসবজি ও কন্দাল ফসল চাষের জন্যও সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা হিসেবে ৪% রেয়াতি সুদ হারে কৃষিঋণ বিতরণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকৃত সুদ-ক্ষতি বাবদ ৫% হারে সুদ-ক্ষতি পুনর্ভরণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।
স্কিমের নাম: ‘নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় শস্য ও ফসল খাতে ৪% রেয়াতি সুদ হারে কৃষি ঋণ প্রদান।’
স্কিমের মেয়াদ: এ স্কিমের মেয়াদ হবে ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত।
ঋণের সুদের হার: এ স্কিমের আওতায় কৃষক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৪%। উক্ত সুদ হার চলমান এবং নতুন ঋণগ্রহীতা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে ৩০ জুন, ২০২১-এর পর চলমান ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।
ঋণ বিতরণ ও আদায়: কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত ধান, গমসহ সব দানাশস্য, অর্থকরী ফসল, শাকসবজি ও কন্দাল ফসল চাষের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো পূর্ববর্তী বছরগুলোর ন্যায় নিজস্ব উৎস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত তাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কৃষক পর্যায়ে ৪% হার সুদে ঋণ বিতরণ করবে। এক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলো তাদের প্রকৃত সুদ-ক্ষতি অনুযায়ী ৫% হারে সুদ-ক্ষতি পুনর্ভরণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।
শস্য ও ফসল চাষের জন্য রেয়াতি সুদে ঋণ বিতরণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারি করা কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত ঋণ নিয়মাচার এবং অন্যান্য নীতিমালা, যেমন—কৃষক প্রতি ঋণের সর্বোচ্চ সীমা, জামানত, আবেদনপত্র গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল, ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা নিরূপণ, পাস বইয়ের ব্যবহার, ঋণ বিতরণ, ঋণের সদ্ব্যবহার, তদারকি ও আদায় ইত্যাদি যথারীতি প্রযোজ্য হবে। এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ৪% সুদ হার নিশ্চিত করতে হবে।