শনিবার (৫ মার্চ) মস্কোর কাছে একটি অ্যারোফ্লট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন এমন সতর্ক বার্তা দেন।
পুতিন সতর্ক বার্তা দিয়ে আরও বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর নো-ফ্লাই জোন করার যেকোনও প্রচেষ্টা সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ হিসাবে দেখা হবে।
রাশিয়ায় জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইন চালু করার পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
১০ দিন আগে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে পুতিন সরকার। পুতিনের দেশের বাইরে থাকা সম্পদও ফ্রিজিং করা হয়েছে। রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। এমনকি বিশ্বব্যাপী সুরক্ষিত আর্থিক পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সুইফট থেকেও বাদ পড়েছে রাশিয়া।
আকাশসীমা অতিক্রম ও বিমানবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আসায়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাশিয়ার বিমান শিল্প। এ ছাড়া অনেক বহুজাতিক কোম্পানি, টেক জায়ান্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে রাশিয়ার সঙ্গে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের পেমেন্ট জায়ান্ট ভিসা ও মাস্টারকার্ড দেশটির বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন স্থগিত করেছে। এছাড়া জারা, পেপল, স্যামসাং তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত করেছে রাশিয়ায়। এর আগে গুগল, ফেসবুকসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক লেনদেন স্থগিত করে।
ফলে কয়েকদিনের ব্যবধানে রুবেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে এবং রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার দ্বিগুণ করতে বাধ্য করেছে এসব নিষেধাজ্ঞা।
পশ্চিমা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ান সামরিক অভিযান প্রত্যাশার চেয়ে কম ভালো চলছে, এবিষয়ে জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী সব কাজ সম্পন্ন করবে। আমি এতে মোটেও সন্দেহ করি না। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।’’
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই। সূত্র: বিবিসি