এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্বব্যাংক ইউক্রেনের জন্য ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের আর্থিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছে এবং আগামী মাসগুলোতে আরও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে। ইউক্রেনের জন্য বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের অনুমোদিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ১৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা।
দুই সপ্তাহ আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছেন বলে অনুমান করা হয়।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন ব্যাপক মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, আইএমএফের আর্থিক সহায়তা ইউক্রেন জরুরি ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি যুদ্ধের বিশাল অর্থনৈতিক প্রভাব কাটানোর কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, যুদ্ধের কারণে মানবজীবনের মর্মান্তিক ক্ষয়ক্ষতি এবং অবকাঠামো ও উৎপাদন ক্ষমতার ব্যাপকভাবে ধ্বংস হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। এসবের ফলে মানবিক দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যুদ্ধ এই বছর ইউক্রেন একটি গভীর মন্দার দিকে নিয়ে যাবে। যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই দেশটির জন্য অর্থায়নের প্রয়োজন। তিনি জানান, সাধারণত আইএমএফের অর্থায়নে শর্ত থাকলেও ইউক্রেনের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে শরণার্থী হয়ে যাওয়া ২০ লাখ মানুষকে যেসব প্রতিবেশী দেশ আশ্রয় দিচ্ছে তাদেরও সহায়তা প্রদান করবে। এসব শরণার্থীর অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।
ইউক্রেন সরকার তার যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর একটি হলো দেশটি গত সপ্তাহে যুদ্ধ বন্ড বিক্রির মাধ্যমে ২৭ কোটি ডলার সংগ্রহ করা। এই অর্থ দিয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করা হবে।