একই সঙ্গে ডেমারেজ চার্জ (ক্ষতিপূরণ মাশুল) মওকুফের সুবিধা নিয়ে আমাদানিকারকদের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মালামাল খালাস করারও অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এফবিসিসিআই’র এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ মের মধ্যে কন্টেনাইর গ্রহণ করলে আমদানিকারকদের স্টোর ভাড়া শতভাগ মওকুফের সুবিধা ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ওয়্যার হাউজে আটকে থাকা পোশাক শিল্পের কাঁচামালের ডেমারেজ চার্জ মওকুফের ঘোষণা দেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত সব বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ কারণে অনেক পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের কারণে ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন চলাকালীন পর্যন্ত আমদানিকৃত এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ওয়্যার হাউজে রক্ষিত তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালের ফ্রি টাইম পরবর্তী ডেমারেজ চার্জ মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিমান বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সুবিধা ঘোষণার পর এফবিসিসিআই থেকে আমদানিকারকদের বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব হোসাইন জামিল জানান, কার্গো বিমান যোগে আমদানি করা পণ্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালাস করার জন্য সব আমদানিকারকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
একই সঙ্গে ডেমারেজ চার্জ মওকুফের সুবিধা গ্রহণ করে সব আমাদানিকারকদের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মালামাল খালাস করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।