মহামারিতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণ সংকুচিত হওয়ার ফলে এই ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, এপ্রিলের বাজেট ঘাটতি দেখিয়ে দিয়েছে সংকট মোকাবিলায় অর্থনৈতিক প্রভাব হ্রাস করতে সরকারের ব্যয়ের বিশালতা।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট ঘাটতির রেকর্ড ছিল ২৩৫ বিলিয়ন ডলার।
অল্প কিছুদিন আগ পর্যন্তও পুরো যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর লকডাউন জারি ছিল। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া এই পদক্ষেপের ফলে দেশটির বেশিরভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবকটি অঙ্গরাজ্যেই করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যু হলেও সংক্রমণের গতি কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই আংশিকভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
কোভিড-১৯ এ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৪ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজারের বেশি মানুষের।
মঙ্গলবারই হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য ও দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, আগেভাগে অর্থনীতি সচল হলে মার্কিন জনগণ অপ্রয়োজনীয় দুর্ভোগ ও মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সিনেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম ও পেনশন বিষয়ক কমিটির কাছে এই সতর্কতা পৌঁছে দেওয়া হবে।