বেনাপোল শুল্কভবন সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার ৮৯ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এতে ৫৫৮ কোটি ৮ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। তবে এ সময় আমদানি কমেছে ৪ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। এদিকে পরপর ১০ বছর ধরে এনবিআরের দেয়া রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বেনাপোল কাস্টম হাউস।
জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি পণ্য থেকে এনবিআর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছিল দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে বছর শেষের দিকে রাজস্ব পূরণে শঙ্কা দেখা দেয়ায় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। কিন্তু ৩০ জুন বছর শেষে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আদায়ে ঘাটতি থেকে যায় ৫৫৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। পণ্য খালাসে নানান জটিলতা ও বন্দরের অব্যবস্থাপনা রাজস্ব ঘাটতির কারণ বলে জানিয়েছে কাস্টমস। বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো, কাস্টমসে খাদ্যদ্রব্য ও কেমিকেল জাতীয় পণ্য খালাসে জটিলতা ও অধিক শুল্ক আয়ের পণ্য আমদানি কমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, বলছেন বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতি ৩ হাজার ৩৯২ কোটি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১১৪৫ কোটি, ২০১৭-১৮-তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭-তে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, আবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঘাটতি ২০৩ কোটি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪-তে ঘাটতি ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩-তে ঘাটতি ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।