স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও যুক্তরাজ্য তার শুল্কমুক্ত বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখবে। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ কথা জানান।
সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্যের শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার এ কথা জানান।ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটাং বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকশিনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকসহ অংশীজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ব্রিটিশ সরকার বিদ্যমান জিএসপি ব্যবস্থার স্থলে ‘ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম’ নামে একটি নতুন স্কিম ঘোষণা করেছে। নতুন স্কিম অনুযায়ী, এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কসুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবে।
এ সময় বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্যস্থল। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে ৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেহেতু শিল্পপরবর্তী প্রবৃদ্ধি ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই আমরা আমাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়াতে শিল্পের অগ্রাধিকারগুলো নির্ধারণ করেছি, বিশেষ করে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, উদ্ভাবন, প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন এবং হাই-এন্ড টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। তিনি নতুন স্কিমের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি বাংলাদশকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এর চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটাং বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সাধন কুমার দাস।