শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়েছে। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মোদির বক্তব্য নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার জবাব দিতে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের ঘটনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকের পর বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তোলে সরকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির বর্ণনা দেয়নি। শনিবার সকালে এক টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘চীনা আগ্রাসনের কাছে ভারতীয় ভূখন্ড হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভূখণ্ড যদি চীনের হয় তাহলে: (১) আমাদের সেনাদের কেন হত্যা করা হলো? (২) তাদের কোথায় হত্যা করা হলো?’
শনিবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন নিয়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুন গালওয়ানে সহিংসতা শুরু হওয়ার কারণ চীনা পক্ষ নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে অবকাঠামো নির্মাণের চেষ্টা করে এবং এধরণের কাজ থেকে বিরত থাকতে অস্বীকৃতি জানায়।’
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে মুহূর্তে আমাদের সাহসী সেনা সদস্যরা সীমান্ত রক্ষা করছে তখন তাদের মনোবল ক্ষুণ্ন করতে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি করা দুর্ভাগ্যজনক। তবে সর্বদলীয় বৈঠকের মূল মনোভাব ছিল জাতীয় সংকটের সময় সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণায় ভারতীয় জনগণের একতা ক্ষুণ্ন হবে না।’