মার্চে করোনা মহামারির ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের সময় বিভিন্ন দেশ লকডাউনে চলে যায়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো বিশ্বব্যাপী তাদের সরবরাহকারীদের কয়েক মিলিয়ন ডলারের পোশাকের অর্ডার বাতিল করে দেয়। বাতিলের তালিকায় ইতোমধ্যেই প্যাকেটজাত হয়ে শিপিং-এর জন্য অপেক্ষমাণ পোশাকও রয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এ বলছে, ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারীদের কাছে ইতোমধ্যেই তাদের দেওয়া প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের অর্ডার প্রত্যাহার করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জানিয়েছেন, গত মাসে ২৫ হাজারেরও বেশি শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। তার আশঙ্কা, বিদেশিদের অর্ডার না পেলে আগামী ছয় মাসে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছাতে পারে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে একজন গার্মেন্টস কর্মী বলেন, তারা আমাদের বলেছে, বিদেশি ক্রেতারা সব অর্ডার বাতিল করে দিচ্ছে। ফলে কোনও নতুন কাজ নেই। দুই মাস ধরে আমাদের কোনও বেতন নেই। আমাদের বাসা ভাড়া বকেয়া পড়ে আছে। যাবতীয় মুদি সামগ্রী আমরা বাকিতে কিনে থাকি। এখন আগের টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা আমাদের আর কোনও খাবার দেবে না। বাড়িওয়ালা আমাদের জন্য এক বস্তা চালের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন এবং তাতেই আমরা বেঁচে আছি।