বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে `CEMS Global Bangladesh' আয়োজিত `21st Textech Bangladesh International Expo' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুখ হাসান, বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, দেশের বস্ত্রখাতকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষম করতে নানামুখী নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে বস্ত্রখাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রেখেছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পোশাকখাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। এ খাতের ব্যবসাকে সহজতর করার জন্য নীতি সহায়তা প্রদান, অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধিসহ সব ক্ষেত্রে দৃঢ় সহায়তার ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পোর্টের সুবিধা বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
দেশের সাশ্রয়ী বিশাল শ্রমশক্তি, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দক্ষ মানবসম্পদগুলোর সমন্বয়ে বস্ত্র ও পোশাকখাত আরও দক্ষভাবে গড়ে উঠতে পারবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।