এটি বাজারজাত করতে কাজ করে যাচ্ছে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আস্ট্রাজেনেকা। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে করোনা টিকার ৪০ কোটি ডোজ প্রি-অর্ডার করতে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ।
অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা-র পাশাপাশি মর্ডার্না ইনকরপোরেশনের টিকাও রাখা হয়েছে ফ্রন্ট রানারের তালিকায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা যতটুকু অগ্রসর হয়েছে সেদিক থেকে আমি মনে করি তারাই শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে।
মর্ডার্না ইনকরপোরেশনের টিকা নিয়েও কথা বলেন সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি বলেন, আমরা জানি যে মর্ডার্নার ভ্যাকসিনটি সম্ভবত জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেতে চলেছে। অর্থাৎ এটিও খুব পিছিয়ে নেই।
এদিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা। করোনাভাইরাস থেকে এসব টিকা মানুষকে কতটা ভালোভাবে সুরক্ষা দিতে পারে সেটা যাচাই করতেই এসব ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড। তিনি জানান, ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ খুব ভালো চলছে। আমরা এখন ভ্যাকসিনটি কত বয়সের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের প্রক্রিয়া চালিত করতে পারে তা মূল্যায়ন করে দেখছি। এছাড়া এটি ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কিনা তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটির উন্নয়ন কাজ বা বাজারজাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
আস্ট্রাজেনেকা-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাস্কাল সরিওট জানিয়েছেন, তাদের এ টিকা প্রায় এক বছরের জন্য এ ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।
তিনি বলেন, আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল পাওয়া যাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর নাগাদ এই টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, এটি প্রায় বছরখানেক ধরে সুরক্ষা দেবে।
আস্ট্রাজেনেকা-র এ টিকার ৪০ কোটি ডোজ প্রি-অর্ডার করতে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ। দেশগুলো হচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। চার দেশের জোট ইনক্লুসিভ ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-এর (আইভিএ) সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হয়েছে আস্ট্রাজেনেকা। চুক্তি অনুযায়ী, এ টিকা ইউরোপে সরবরাহের কাজে সহায়তা দেবে আইভিএ।