আর এ সময়ে সেখানে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
১০ জুনের পর এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৯৬৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ফ্লোরিডা, সাউথ ক্যারোলাইনা ও টেক্সাসেও বৃহস্পতিবার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগত দেখা গেছে।
কোভিড-১৯ রোগে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৮ হাজার আমেরিকানের প্রাণহানি ঘটেছে।
সম্প্রতি আক্রান্ত যেভাবে বাড়ছে, তাতে মৃত্যুর হিসাবেও নতুন সংখ্যা যোগ হবে বলে হুশিয়ারি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন রাজ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও উদ্বেগজনকহারে বেড়েই চলছে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চল টেক্সাস ও অ্যারিজোনা। সেখানে মর্গগুলো লাশে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। নতুন লাশ রাখার জায়গাও ফুরিয়ে যাচ্ছে। কুলারস ও হিমায়িতকরণ ট্রেলার আনা হচ্ছে।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা চূড়ায় ছিল। তখন দিনে গড়ে দুই হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে দেশটিতে।
মে মাসে তা নিয়মিতভাবে কমতে শুরু করে। তখন গড়ে এক হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জুনে তা গড়ে ৮০০ তে নেমে আসে। জুলাইতে ফের বাড়তে শুরু করে।
কিন্তু ভয়াবহ প্রাণহানি সত্ত্বেও জনসমক্ষে ফেস মাস্ক পরা, স্কুল খোলা ও অর্থনীতি সচল করা নিয়ে আমেরিকানরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এতে করোনা প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯ হাজার ৭০ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল।