কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিবাসী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান (যেমন: বীমা কোম্পানি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদিসহ) অনিবাসী ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীগণ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে পারে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তাছাড়া, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে তথ্য গ্রহণপূর্বক বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সরকারি সিকিউরিটিজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে লেনদেন শুরু হলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
বর্তমানে কোনো বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ট্রেজারি ডিভিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমআই মডিউলে “সিকিউরিটিজ অ্যাকাউন্ট” খুলে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ ও সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন করে থাকে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উক্ত ট্রেজারি ডিভিশন মূলত নিজস্ব সিকিউরিটিজ পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি ক্লায়েন্টাল সার্ভিস প্রদান করে থাকে। কিন্তু, ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রধান কার্যালয়স্থ ট্রেজারি ডিভিশনের পক্ষে নিজস্ব অপারেশনাল কাজের পাশাপাশি ফুল-ফ্লেজেড ক্লায়েন্টাল সার্ভিসেস প্রদান করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ সংক্রান্ত অপরাপর কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।
এমতাবস্থায় ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিজ নিজ ট্রেজারি ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণে/তদারকির আওতায় “গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ বিনিয়োগ উইন্ডো” স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যেখানে থেকে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিনিয়োগ পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রদান করবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ হিসাব খোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়, কুপন ও মেয়াদপূর্তীতে মূল অর্থ দ্রুততার সাথে পরিশোধ এবং লেনদেনের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক হিসাব খোলার পরামর্শ প্রদানসহ বিবিধ কার্যক্রম করবে।
“গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ বিনিয়োগ উইন্ডো” আগামী তিন মাসের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। উক্ত উইন্ডো স্থাপনের আগ পর্যন্ত ক্লায়েন্টের সংখ্যা বিবেচনা করে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম ট্রেজারি ডিভিশনের সন্নিকটস্থ শাখায় সাময়িকভাবে কাস্টমার সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে অথবা স্বতন্ত্র ডেস্ক স্থাপন করে পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।