রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তিনি ঢাকা আসছেন। সুলতানের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ানের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হবে।
সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এসময় বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে সুলতানকে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
সাভার থেকে সুলতানকে রাজধানীর একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি সফরকালে সেখানেই অবস্থান করবেন।
একইদিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হোটেলের সভা কক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর সুলতান বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। রাষ্ট্রপ্রধান সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন সুলতান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একই দিন বিকেলে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক বসবেন।
সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দু’দেশের নাবিকদের সনদ দেওয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
অর্থসংবাদ/এনএন