অভিযোগ তদন্তের পর বৃহস্পতিবার সেবি জানায়, চারটি ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে বেআইনিভাবে নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরই তারা বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসিসহ ৪৫ জন ইউটিউবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আরশাদ ওয়ারসির স্ত্রী মারিয়া গোরোটির বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ করেছে সেবি। খবর বিবিসি ও এই সময়ের
সেবির কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার মনীশ মিশ্রের মালিকানাধীন ইউটিউব চ্যানেল দ্য অ্যাডভাইজার ও মানিওয়াইজ খুচরা বিনিয়োগকারীদের দুটি কোম্পানির শেয়ার কিনতে তারকাদের ব্যবহার করে। একই ধরনের ভিডিও আপলোড করা হয় মিডক্যাপ কলস এবং প্রফিট ইয়াত্রা চ্যানেলে। ভিডিওতে শার্প লাইন ব্রডকাস্ট ও সাধনা ব্রডকাস্ট সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়, যাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি দুটির শেয়ার কিনতে উৎসাহী হোন।
সেবির কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা তাঁদের তদন্তে দেখেছেন এসব ইউটিউবের হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার বা গ্রাহক। ভিডিওগুলো লাখ লাখবার দেখা হয়েছে। এতে সত্যি সত্যিই শেয়ারের দাম বাড়ে। তখন সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তোলেন। এভাবে মুনাফা করা ৫৪ কোটি রুপি জব্দ করা হয়েছে।
সেবি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে আরশাদ ওয়ারসি ২৯ লাখ ও তাঁর স্ত্রী মারিয়া গোরোটি ৩৭ লাখ রুপি মুনাফা করেন।
তবে সেবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরশাদ ওয়ারসি। এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘আপনি খবরে যা পড়েছেন, অনুগ্রহ করে তা বিশ্বাস করবেন না। স্টক সম্পর্কে মারিয়া (আরশাদের স্ত্রী) ও আমার জ্ঞান শূন্য। তৃতীয় পক্ষের পরামর্শে বিনিয়োগ করে আমরা আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়েছি।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিন্ট পত্রিকার তথ্যানুযায়ী, ইউটিউব থেকে ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হলেও সেবি কর্তৃপক্ষের কাছে তার প্রমাণ রয়েছে।