এর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত ১৭ আগস্ট সকালে রাজধানী টোকিওর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন শিনজো আবে। তবে সরকারিভাবে একে প্রধানমন্ত্রীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তখন থেকেই জাপানের রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে তার পদত্যাগের গুঞ্জন শুরু হয়।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও ৬৫ বছর বয়সী শিনজো আবের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। দেশটির সরকারি প্রচারমাধ্যম এনএইচকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সরকার পরিচালনায় যেন সমস্যা তৈরি না হয় তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সপ্তাহে জাপানের ইতিহাসে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড গড়েন শিনজো আবে। এর আগেও ২০০৭ সালে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে আচমকা তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিবিসি জানিয়েছে, শিশুকাল থেকেই স্বাস্থ্যগত একটি জটিল সমস্যায় ভুগছেন শিনজো আবে।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় রক্তবমি করেছিলেন উল্লেখ করে একটি সংবাদ সাময়িকীতে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল তখন।
সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান এবং এনবিসি