কাঁচা মরিচের ঝালের সঙ্গে দামের বিস্তর ফারাক, সেই সঙ্গে শাকের দামও নাগালের বাইরে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের কাঁচা মরিচের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। আর যে কোনো শাকের আঁটি কিনতে খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার ওপরে।
শাক-সবজি, কাঁচা মরিচের এমন চড়া দাম বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। এমনকি মধ্যবিত্তরাও অস্বস্তিতে ভুগছেন। এদিকে করোনা মহামারিতে আয় কমে যাওয়া, অন্যদিকে পণ্যের চড়া দামের কারণে রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষকেই ভুগতে হচ্ছে।
অবশ্য শাক-সবজির চড়া দামের বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে বয়লার মুরগি। বাজারভেদে বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। এতে কিছু কিছু সবজির তুলনায় বয়লার মুরগি কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এককেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। এক কেজি গাজর কিনতেও একশ টাকা গুণতে হচ্ছে। বাজারভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা। গত সপ্তাহেও সবজি দুটি এমন চড়া দামে বিক্রি হয়।
শুধু টমেটো ও গাজর নয় একশ টাকা কেজি স্পর্শ করেছে উস্তা, বেগুন, বরবটি। আগের সপ্তাহের মতো উস্তার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। গত সপ্তাহে ৭০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০-১০০ টাকা হয়েছে।
দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে চিচিঙ্গা, পটল, ঢেঁড়স। গত সপ্তাহে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম বেড়ে ৬০-৭০ টাকা হয়েছে। ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটল ও ঢেঁড়শের দাম বেড়ে ৬০-৭০ টাকা হয়েছে।
এছাড়া আগের সপ্তাহের মতো কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়ো জালির পিস ৪০-৫০ টাকা, পেপের কেজি ৪০-৪৫ টাকা এবং কাচা কলার হালি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও ডিম। এক কেজি আলুর জন্য ৩৫-৪০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা।
এদিকে বিভিন্ন বাজারে, লাল শাক, সবুজ শাক, কলমি শাকের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক। পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। আর লাল শাক, সবুজ শাক ও কলমি শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
শাক-সবজির এমন চড়া দামের কাচাঁবাজার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা ও পানিতে খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শাক-সবজির দাম এমন বেড়েছে। এছাড়া দাম বাড়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। কারণ শাক-সবজি এমন পণ্য যা মজুদ করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।
পরিস্থিতি যা তাতে সহসা সবজির দাম কমবে বলে মনে হয় না। বাজারে এখন সবজির যে চাহিদা, সরবরাহ তার তুলনায় অনেক কম। হুট করে সরবরাহ বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।