তিনি বলেছিলেন, আমি মারা যাওয়ার পর আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়। অবশ্যই খুব গোপনে যেন কবর দেওয়া হয়। জানাজা হবে, কিন্তু আমি চাই না কেউ আমাকে আর দেখুক। আর মারা যাওয়ার আগে বড় হজ করার ইচ্ছা রয়েছে। আপনারা দোয়া করবেন আমার জন্য। আমার নিজের চেষ্টা তো রয়েছেই, সবার দোয়াও কাজে লাগে।
এ ছাড়া মৌসুমী অনুরোধ করেন, মৃত্যুর পর তার ছবিগুলো যেন সবার ফোন থেকে মুছে দেওয়া হয়। এমনকি টিভি চ্যানেলেও যেন ‘ধুমধড়াক্কা’ কোনো ছবি দেখানো না হয়।
মৌসুমী বলেন, যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমার কোনো কাজ মনে হয় যে আর্কাইভে রাখলে ভালো হবে, গবেষণার জন্য প্রয়োজন আছে, তা হলে সে উদ্দেশ্যেই ছবিগুলো সংরক্ষিত হবে। অবশ্যই বাছাই ছবিগুলো আর্কাইভে রাখা হবে, ভালো উদ্দেশ্যে। এ ছাড়া অন্য সব ছবি ডিলিট করে দিলে ভালো হয়।
এবার এ প্রসঙ্গে কথা ব্বললেন স্বামী ওমর সানী। মৌসুমীর এমন ধর্মীয় অনুভূতি তৈরি হওয়ায় ওমর সানী নিজেকে সাকসেস বলে মনে করছেন। সানী বলেন, ‘আমিও ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ আমি তো পৃথিবীতে সারাজীবন থাকব না। আমিও চাই, পৃথিবীতে থেকে সুন্দরভাবে বিদায় নিতে হবে। যেখানে রাসুল (স) বিদায় নিয়েছেন, সেখানে আমাদেরও বিদায় নিতে হবে। তবে মৌসুমী হৃদয়ে যে ধর্মীয় অনুভূতি তৈরি হয়েছে, এতে আমি সাকসেস বলে মনে করি।’
ওমর সানী বলছেন, ‘মৌসুমী জীবনের শেষ কিছু ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন। এটিকে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে নিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এখনই মৌসুমী সব কিছু বন্ধ করেন না কেন? সব কিছু ডিলিট করেন না কেন? আমার প্রশ্ন— এখন কেন করবেন? তিনি তো বলেছেন মৃত্যুর পর। তবে মৌসুমী যা বলেছেন চমৎকার বলেছেন।’
ওমর সানীর ভাষ্য, মৌসুমী বলেছেন, ‘আমার যখন মৃত্যু হবে, তখন যেন আমার লাশটা কেউ না দেখে। ক্ষমা চেয়েছেন। হজে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এটাকে আমি স্বাগত জানাই। ’
মৌসুমীর হজে যাওয়ার প্রসঙ্গে টেনে ওমর সানী বলেন, ওমরাহ করেছি। আগামীতে পুরো পরিবার নিয়ে হজে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।