ইসলামী ব্যাংক বলছে, শতাধিক গার্মেন্ট কারখানা তাদের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য এমক্যাশের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে বেছে নিয়েছে। দেশব্যাপী ইসলামী ব্যাংকের ৩৫৭টি শাখা, ১০২টি উপশাখা, ১ হাজার ৩৮১টি এজেন্ট আউটলেট এবং ৬৬০টি এটিএম/সিআরএম মেশিনের পাশাপাশি এমক্যাশ ও গ্রামীণফোন-মোবিক্যাশের এজেন্ট পয়েন্ট থেকেও এ টাকা গ্রাহকরা উত্তোলন করতে পারছেন।
গ্রাহকদের আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত করতে এমক্যাশের মাধ্যমে প্রদানকৃত বেতনের টাকা এটিএম হতে উত্তোলনের চার্জ সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। ফলে গার্মেন্ট শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছুটির দিনসহ যেকোনো সময় নিরাপদে এটিএম হতে বিনা খরচে বেতনের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন। ইসলামী ব্যাংক এমক্যাশ ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী ব্যাংক বলছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে নগদ টাকায় গার্মেন্ট কর্মীদের বেতন প্রদান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এতে যেমন শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা অপচয় হয়, তেমনি উৎপাদনও ব্যাহত হয়। পক্ষান্তরে এমক্যাশের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সহজে ও কম খরচে বেতন পরিশোধ করা যায়। প্রতিটি লেনদেনের রেকর্ড থাকায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়। এছাড়া এমক্যাশের ডিজিটাল স্যালারি পেমেন্ট সার্ভিস ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।