বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন তাঁর নিজস্ব একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এবার রোজায় অতিরিক্ত এক লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন যোগ হয়েছিল।’
তার হিসাব মতে, পোশাকের বাজারে যোগ হয় ৬০ হাজার কোটি টাকা। নিত্যপণ্যের বাজারে যোগ হয় ২৮ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। ধনীদের দেওয়া জাকাত ও ফিতরা বাবদ যোগ হয় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পরিবহন খাতে অতিরিক্ত যোগ হয় ৬৫০ কোটি টাকা। রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ ও বিনোদন খাতে যোগ হয় চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া আয়ের হিসাবে সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি খাতের ৬০ লাখ দোকান কর্মচারী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের বোনাস ঈদ অর্থনীতিতে যোগ হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল হক ভূঞা বলেন, এ বছর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেচাকেনা কম হয়েছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও ঈদ অর্থনীতিতে যুক্ত হবে।
ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেছার উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘সার্বিকভাবে বিক্রি ভালো হয়েছে।’
এ বছর অনলাইনে প্রায় সব ধরনের ঈদের বাজার হলেও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তেমন বেশি বিক্রি হয়নি বলে জানালেন দেশীয় ই-কমার্সের শীর্ষ সংগঠন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়ছার।
তিনি জানান এ বছর এফ-কমার্সে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং ই-কমার্সে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি বিক্রি বেড়েছিল। এবার গড়ে প্রায় ৭.৫ লাখ দৈনিক ওয়ার্ডার ডেলিভারি হয়েছে।
ই-ক্যাবের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা জানান, এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৬শ কোটি টাকার পণ্য অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা ডিজিটাল পেমেন্ট করা হয়। আর মহিলা উদ্যোক্তারা বিক্রি করেছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
ই-ক্যাবের ফিন্যান্সিয়াল সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ বলেন, ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে ই-কমার্সে কেনাকাটার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।