রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয়ে আচেহ প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় এক জেলে মাছ ধরার সময় উপকূল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রোহিঙ্গাদের দেখতে পান। পরে তাদের মধ্যরাতে উজং ব্ল্যাং সৈকতে আনা হয়। স্থানীয় পুলিশ রয়টার্সকে জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৪ শিশু ও ১৮১ জন নারী রয়েছেন। রেডক্রসের প্রধান জুনাইদি ইয়াহিয়া বলেছেন, ‘উদ্ধার সবাইকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী একজন অসুস্থ হওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া লোকজনের স্বাস্থ্যের বিষয়টি, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর ব্যাপার নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
অলাভজনক সংস্থা আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লেওয়া রয়টার্সকে বলেন, সোমবারে আচেহ প্রদেশে পৌঁছানো রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে মার্চ অথবা এপ্রিলের শুরুতে যাত্রা শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়া। কিন্তু করোনাকালে সীমান্তে কড়াকড়ি অবস্থা থাকায় তারা দেশটিতে যেতে পারেনি। থাইল্যান্ড সীমান্তেও কড়াকড়ি থাকায় তারা সে দেশেও ঢুকতে পারেনি।
ক্রিস লেওয়া আরো বলেন, মূলত রোহিঙ্গাদের অর্থের জন্য জিম্মি করে রেখেছিল পাচারকারীরা। তারা কোনো অর্থ না পাওয়ায় রোহিঙ্গারা নৌকায় সাগরেই ভাসছিল। পাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের কয়েক ভাগে নৌকায় ওঠায়। জুনে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঢুকতে পারলেও অন্যরা সাগরেই ছিল। তারাই সোমবার ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধার হল।