খোলা চিনির দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও এর চেয়ে ১০ টাকা বেশি অর্থাৎ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
১১ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনির নতুন দাম বেঁধে দেয়। এতে খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আর মোড়কজাত চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর আগে মোড়কজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা ও খোলা চিনির দাম ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
হিলি বাজারে চিনি কিনতে আসা আব্দুল খালেক বলেন, ‘সরকার দর নির্ধারণ করে দিলেও আমরা বাজারে গিয়ে সে দামে চিনি পাচ্ছি না। প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও হয়ে গেছে। সরকার ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।’
হিলি বাজারের চিনি বিক্রেতা মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে আমরা কোনো প্যাকেটজাত চিনি পাচ্ছি না। বিভিন্ন কোম্পানিকে ক্রয়াদেশ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্যাকেটজাত চিনি নেই বলে দাবি করছেন। বর্তমানে আমরা মোকামে শুধু খোলা চিনি পাচ্ছি, সেটিই বিক্রি করছি। তবে সরকার খোলা চিনির যে দাম বেঁধে দিয়েছে সে দামে আমরা চিনি পাচ্ছি না। প্রতি ৫০ কেজি চিনির বস্তা মোকামেই আমাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর আমরা ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
হিলি বাজারের খুচরা চিনি বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘চিনির যে দাম তাতে করে চিনি বিক্রি করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে চিনি কিনে আনছি। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আমরা ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘বাজারে চিনি যে নেই তা কিন্তু নয়। এগুলো ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তবে চিনির মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। কতৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা দেবে ঠিক সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’