নিদ্রাহীনতা: ক্যালসিফেরলের মাত্রা কম হলে তা আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ এই ভিটামিনের অভাব স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে আপনি বেশিরভাগ সময়েই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ভিটামিন ডি-এর অভাব ঘুম কমিয়ে দেওয়া, রাত জেগে থাকাসহ ঘুম সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে।
হাড়ে ব্যথা: এটি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের মধ্যে একটি হলো হাড়ে ব্যথা হওয়া। ভিটামিন ডি কম থাকার কারণে, হাড়ে ব্যথা অনুভব হয়। সেইসঙ্গে পেশীতে দুর্বলতা, হাড়ের ক্ষয়ও দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে আপনি টানা হাঁটতেও পারবেন না, একটুতেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া: ঘন ঘন অসুস্থতার ঘটনা ঘটে থাকলে সতর্ক হোন, কারণ এটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির লক্ষণ। আমাদের ইমিউন সিস্টেমে ভিটামিন ডি এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই এই ভিটামিনের অভাব শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণুর সংস্পর্শে নিয়ে আসে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাদের ভিটামিন ডি কম থাকে তাদের সর্দি, হাঁপানি এবং ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।
বিষণ্ণতা: বিষণ্ণতার সূত্রপাত বিভিন্ন কারণে হতে পারে, ভিটামিন ডি এর অভাব তাদের মধ্যে অন্যতম। ভিটামিন ডি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম সচেতনতা থাকার কারণে অনেকে এই সংযোগ দেখতে পান না। গবেষণায় বিষণ্ণতার লক্ষণ এবং ভিটামিন ডি এর নিম্ন স্তরের মধ্যে একটি সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ জার্নালে প্রকাশিত A 2020 পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে হতাশা ও বিষণ্ণতা বেড়ে যায়।
চুল পড়া: ভিটামিন ডি চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করতে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ভিটামিনের অভাবে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং এটি চুলের ব্যাপক ক্ষতিও ঘটায়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে তা নতুন চুল গজাতেও বাধা দেয়।
অর্থসংবাদ/এসইউ