বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ দ্বিগুণেরও বেশি হবে। ক্রমবর্ধমান স্থূলতা ও স্বাস্থ্য বৈষম্য বৃদ্ধি এর জন্য দায়ী। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
২০২১ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫২ কোটি ৯০ লাখ। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যা ২০৫০ সাল নাগাদ ১৩০ কোটির বেশি হবে। এছাড়া পরবর্তী ৩০ বছরে কোনো দেশেই ডায়াবেটিসের হার কমার কোনো লক্ষণ নেই।
দ্য ল্যানসেট, দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল।
এই পূর্বাভাসকে ‘উদ্বেগজনক’ অভিহিত করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বেশির ভাগ রোগকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিস। যা মানুষ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।
জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯৮০ কোটি। সে হিসেবে তখন প্রতি ৭-৮ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবেন।
গবেষকরা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিরোধযোগ্য ও প্রাথমিকভাবে শনাক্তযোগ্য টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কা দেখছেন তারা। যার একাধিক কারণের প্রথমটি হলো স্থূলতা।
আরো বলেন, জাতিগত সংখ্যালঘু ও ভৌগলিক বৈষম্য দ্বারা সৃষ্ট কাঠামোগত বর্ণবাদ বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস, অন্যান্য রোগ ও মৃত্যুর হারকে ত্বরান্বিত করছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ইনসুলিনের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তারা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। অসুস্থতা ও নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে তাদের আয়ুও কম। গবেষকরা বলছেন, কভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস বৈষম্যকে প্রশস্ত করেছে। এ সময়ে ডায়াবেটিসবিহীনদের তুলনায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মারাত্মক সংক্রমণ ও মৃত্যু ছিল দ্বিগুণ। বিশেষত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই হার বেশি।
অর্থসংবাদ/এসএম